Dhaka ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অমর একুশে বইমেলা কাল উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৪০:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১২০ Time View

বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে আগামীকাল শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারেরর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মাসব্যাপী দেশের বৃহত্তম অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এর উদ্বোধন করবেন।

বইমেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. সরকার আমিন বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।  তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় বইমেলার উদ্বোধন করবেন।’ এ বছরের বইমেলার প্রতিপাদ্য বিষয় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ’।

বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম।

বইমেলায় অংশগ্রহণকারী ৭০৮ জন প্রকাশকের মধ্যে ৯৯টি স্টল বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে, ৬০৯টি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মাণ করা হয়েছে। গত বছর বইমেলায় ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩৭টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।

মেলায় ৩৭টি প্যাভিলিয়ন থাকবে-একটি বাংলা একাডেমিতে এবং ৩৬টি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। লিটল ম্যাগাজিন কর্নারটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছে গাছের নীচে থাকবে, তাতে প্রায় ১৩০টি লিটল ম্যাগাজিন স্টল থাকবে।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ আজম ও বাংলা একাডেমির সচিব ড. মো. সেলিম রেজাও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

বইমেলার বিন্যাস গত বছরের মতোই থাকবে জানিয়ে সরকার আমিন বলেন, ‘মেট্রোরেল স্টেশনের কাছাকাছি হওয়ায় বহির্গমন গেটটি মন্দিরের গেটের কাছাকাছি কিছুটা সরানো হয়েছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্ল্যান্ট ও ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের কাছে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য চারটি পয়েন্ট থাকবে।

সরকার আমিন জানান, মেলার সীমানা বরাবর খাবারের স্টলের আয়োজন করা হবে ও মেলা প্রাঙ্গণে ৩০টি  শৌচাগার স্থাপন করা হয়েছে, যা মেলার ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের দ্বারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। অনুষ্ঠানস্থলে তিন শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে এবং সব প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে আর্চওয়ে স্থাপন করা হবে।

বিগত বছরগুলোর মতো এবারও মেলার মূল মঞ্চ হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে, বই খোলা এবং ‘লেখক বলছি’ মঞ্চ স্থাপন করা হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে।

মূল মঞ্চে প্রতিদিন বিকাল ৪টায় সেমিনার ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।

৮ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি বাদে শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে বিশেষ ‘শিশু প্রহর’। প্রতিবছরের মতো এবারও মেলার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিশু-কিশোরদের জন্য শিল্পাচার্য, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক কার্যক্রমের আয়োজন করা হবে।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, এ বছর অমর একুশে বইমেলা পরিবেশবান্ধব এবং শূন্য-বর্জ্য হওয়ার লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। সব অংশগ্রহণকারী এবং বইমেলার অংশীদারদের একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাট, কাপড় ও কাগজের মতো টেকসই উপকরণ ব্যবহার করার জন্য উৎসাহিত ও অনুরোধ করা হচ্ছে।

বইমেলা প্রতি কর্মদিবসে সবার জন্য বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং সরকারি ছুটির দিনে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। দুপুরের খাবার ও নামাজের জন্য এক ঘণ্টা বিরতি থাকবে। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মেলা সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।

পূর্ববর্তী ঐতিহ্য অনুসরণ করে ২০২৪ সাল থেকে বেশ কয়েকটি গুণগত মানসম্পন্ন প্রকাশনার জন্য চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরষ্কার, শৈল্পিক উৎকর্ষতায় মুনির চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার, শিশু সাহিত্যে রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার ও নান্দনিক স্টল ডিজাইনের জন্য কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার। সূত্র: বাসস

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

অমর একুশে বইমেলা কাল উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

Update Time : ০৯:৪০:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে আগামীকাল শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারেরর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মাসব্যাপী দেশের বৃহত্তম অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এর উদ্বোধন করবেন।

বইমেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. সরকার আমিন বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।  তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় বইমেলার উদ্বোধন করবেন।’ এ বছরের বইমেলার প্রতিপাদ্য বিষয় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ’।

বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম।

বইমেলায় অংশগ্রহণকারী ৭০৮ জন প্রকাশকের মধ্যে ৯৯টি স্টল বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে, ৬০৯টি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মাণ করা হয়েছে। গত বছর বইমেলায় ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩৭টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।

মেলায় ৩৭টি প্যাভিলিয়ন থাকবে-একটি বাংলা একাডেমিতে এবং ৩৬টি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। লিটল ম্যাগাজিন কর্নারটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছে গাছের নীচে থাকবে, তাতে প্রায় ১৩০টি লিটল ম্যাগাজিন স্টল থাকবে।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ আজম ও বাংলা একাডেমির সচিব ড. মো. সেলিম রেজাও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

বইমেলার বিন্যাস গত বছরের মতোই থাকবে জানিয়ে সরকার আমিন বলেন, ‘মেট্রোরেল স্টেশনের কাছাকাছি হওয়ায় বহির্গমন গেটটি মন্দিরের গেটের কাছাকাছি কিছুটা সরানো হয়েছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্ল্যান্ট ও ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের কাছে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য চারটি পয়েন্ট থাকবে।

সরকার আমিন জানান, মেলার সীমানা বরাবর খাবারের স্টলের আয়োজন করা হবে ও মেলা প্রাঙ্গণে ৩০টি  শৌচাগার স্থাপন করা হয়েছে, যা মেলার ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের দ্বারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। অনুষ্ঠানস্থলে তিন শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে এবং সব প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে আর্চওয়ে স্থাপন করা হবে।

বিগত বছরগুলোর মতো এবারও মেলার মূল মঞ্চ হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে, বই খোলা এবং ‘লেখক বলছি’ মঞ্চ স্থাপন করা হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে।

মূল মঞ্চে প্রতিদিন বিকাল ৪টায় সেমিনার ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।

৮ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি বাদে শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে বিশেষ ‘শিশু প্রহর’। প্রতিবছরের মতো এবারও মেলার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিশু-কিশোরদের জন্য শিল্পাচার্য, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক কার্যক্রমের আয়োজন করা হবে।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, এ বছর অমর একুশে বইমেলা পরিবেশবান্ধব এবং শূন্য-বর্জ্য হওয়ার লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। সব অংশগ্রহণকারী এবং বইমেলার অংশীদারদের একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাট, কাপড় ও কাগজের মতো টেকসই উপকরণ ব্যবহার করার জন্য উৎসাহিত ও অনুরোধ করা হচ্ছে।

বইমেলা প্রতি কর্মদিবসে সবার জন্য বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং সরকারি ছুটির দিনে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। দুপুরের খাবার ও নামাজের জন্য এক ঘণ্টা বিরতি থাকবে। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মেলা সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।

পূর্ববর্তী ঐতিহ্য অনুসরণ করে ২০২৪ সাল থেকে বেশ কয়েকটি গুণগত মানসম্পন্ন প্রকাশনার জন্য চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরষ্কার, শৈল্পিক উৎকর্ষতায় মুনির চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার, শিশু সাহিত্যে রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার ও নান্দনিক স্টল ডিজাইনের জন্য কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার। সূত্র: বাসস