Dhaka ১০:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইমামের বিরুদ্ধে শিশু মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ

সুমি আক্তারঃ
  • Update Time : ০১:৩৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৯৬ Time View

বাদাম খাওয়ানোর পর মুঠোফোনে কার্টুন দেখানোর  প্রলভন দেখিয়ে চার বছর বয়সী এক শিশু মেয়েকে ধর্ষণ করেছে একটি মসজিদের ইমাম। ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার একটি গ্রামের মসজিদের বারান্দায় আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ইমামের নাম আব্দুল আহাদ (৪২)। তিনি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার মাঝিয়ালী পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত সারাফত আলীর ছেলে।

ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর এক আত্মীয় জানান, দুপুর দেড়টার দিকে ওই শিশুকে মসজিদের বারান্দায় এনে বাদাম খাওয়ান ইমাম। পরে কার্টুন দেখানোর কথা বলে তাকে মসজিদের বারান্দা ধর্ষণ করেন। পরে ওই শিশুর চিৎকার শুনে শিশুর মা এসে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। ওই সময় ইমাম আব্দুল আহাদ পালিয়ে যান।
শিশুটির আত্মীয় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এত বড় একটি অন্যায় করার পরও স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়াল মাতুব্বর, অহেদ মাতুব্বর, ছাবু ফকিরসহ কয়েকজন ওই ইমামকে পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে তার বেতন বুঝিয়ে দিয়ে তাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোতালেব হোসেন বলেন, এলাকাবাসী ওই ইমামকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। ওই শিশুটিকে  উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। ওসি আরও বলেন, ওই ইমামকে গ্রেপ্তারের করার জন্য পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ইমামের বিরুদ্ধে শিশু মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ

Update Time : ০১:৩৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

বাদাম খাওয়ানোর পর মুঠোফোনে কার্টুন দেখানোর  প্রলভন দেখিয়ে চার বছর বয়সী এক শিশু মেয়েকে ধর্ষণ করেছে একটি মসজিদের ইমাম। ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার একটি গ্রামের মসজিদের বারান্দায় আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ইমামের নাম আব্দুল আহাদ (৪২)। তিনি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার মাঝিয়ালী পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত সারাফত আলীর ছেলে।

ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর এক আত্মীয় জানান, দুপুর দেড়টার দিকে ওই শিশুকে মসজিদের বারান্দায় এনে বাদাম খাওয়ান ইমাম। পরে কার্টুন দেখানোর কথা বলে তাকে মসজিদের বারান্দা ধর্ষণ করেন। পরে ওই শিশুর চিৎকার শুনে শিশুর মা এসে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। ওই সময় ইমাম আব্দুল আহাদ পালিয়ে যান।
শিশুটির আত্মীয় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এত বড় একটি অন্যায় করার পরও স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়াল মাতুব্বর, অহেদ মাতুব্বর, ছাবু ফকিরসহ কয়েকজন ওই ইমামকে পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে তার বেতন বুঝিয়ে দিয়ে তাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোতালেব হোসেন বলেন, এলাকাবাসী ওই ইমামকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। ওই শিশুটিকে  উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। ওসি আরও বলেন, ওই ইমামকে গ্রেপ্তারের করার জন্য পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে।