Dhaka ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোন ‘মা বাবা’ নেই জন্মনিবন্ধনের: প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদন
  • Update Time : ০৯:১৪:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১৪৯ Time View

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘অনেক সিদ্ধান্ত ঢাকা থেকে হয়। সেটা কীভাবে জেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ন হয় জানা যায় না। যেমন- জন্মনিবন্ধন। এটার কোনও মা-বাবা আছে বলে মনে হয় না। নিয়ম আছে কিন্তু কোন মা-বাবা নাই।’রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘মধ্য বয়সে কিংবা শেষ বয়সে কোথাও যাওয়া দরকার, পাসপোর্ট করা লাগবে, এজন্য জন্মনিবন্ধন লাগবে। সেই আমলে কে জন্মনিবন্ধন করতো জানা নেই। কিন্তু পাওয়া যায়, পয়সা দিলে ঠিকই চলে আসে। পয়সা দিলে যখন আসে, না দিলেও আসার কথা। এই সিস্টেম আমরা করতে পারছি না কেন, এটা তো আসলে নাগরিকদের অবশ্য প্রাপ্য। সরকার ব্যবস্থা করতে পারে নাই বলে অজুহাত দিলে তো চলবে না। নিশ্চয় ব্যবস্থা আছে। কাজেই আমাদের সে ব্যবস্থা করতে হবে। জন্মসনদ যে বয়সেই চায় কেন তাকে অবশ্যই দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদশে জন্ম নেওয়ার দলিল জন্মসনদ। সেটা না হলে এনআইডি পাওয়া যাচ্ছে না, এনআইডি না হলে পাসপোর্ট করা যাচ্ছে না। রাতারাতি করে ফেলতে হবে এটা বলছি না আশাও আমি করছি না। শুরু তো করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে কেন? এটা তো নাগরিক অধিকার। আমরা আইন করে দিয়েছি, এখন থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না। এই কথা গ্রামে পৌঁছাতে হবে। বিনা কারণে এগুলো হয়রানি করে মানুষকে। হয়রানি করা যেন আমাদের ধর্ম। সরকার মানেই হয়রানি করা, এটাকে উল্টে ফেলতে হবে।’

এ সময় প্রাথমিক শিক্ষায় করণীয় নিয়েও জেলা প্রশাসকদের কাজ করতে নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

কোন ‘মা বাবা’ নেই জন্মনিবন্ধনের: প্রধান উপদেষ্টা

Update Time : ০৯:১৪:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘অনেক সিদ্ধান্ত ঢাকা থেকে হয়। সেটা কীভাবে জেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ন হয় জানা যায় না। যেমন- জন্মনিবন্ধন। এটার কোনও মা-বাবা আছে বলে মনে হয় না। নিয়ম আছে কিন্তু কোন মা-বাবা নাই।’রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘মধ্য বয়সে কিংবা শেষ বয়সে কোথাও যাওয়া দরকার, পাসপোর্ট করা লাগবে, এজন্য জন্মনিবন্ধন লাগবে। সেই আমলে কে জন্মনিবন্ধন করতো জানা নেই। কিন্তু পাওয়া যায়, পয়সা দিলে ঠিকই চলে আসে। পয়সা দিলে যখন আসে, না দিলেও আসার কথা। এই সিস্টেম আমরা করতে পারছি না কেন, এটা তো আসলে নাগরিকদের অবশ্য প্রাপ্য। সরকার ব্যবস্থা করতে পারে নাই বলে অজুহাত দিলে তো চলবে না। নিশ্চয় ব্যবস্থা আছে। কাজেই আমাদের সে ব্যবস্থা করতে হবে। জন্মসনদ যে বয়সেই চায় কেন তাকে অবশ্যই দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদশে জন্ম নেওয়ার দলিল জন্মসনদ। সেটা না হলে এনআইডি পাওয়া যাচ্ছে না, এনআইডি না হলে পাসপোর্ট করা যাচ্ছে না। রাতারাতি করে ফেলতে হবে এটা বলছি না আশাও আমি করছি না। শুরু তো করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে কেন? এটা তো নাগরিক অধিকার। আমরা আইন করে দিয়েছি, এখন থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না। এই কথা গ্রামে পৌঁছাতে হবে। বিনা কারণে এগুলো হয়রানি করে মানুষকে। হয়রানি করা যেন আমাদের ধর্ম। সরকার মানেই হয়রানি করা, এটাকে উল্টে ফেলতে হবে।’

এ সময় প্রাথমিক শিক্ষায় করণীয় নিয়েও জেলা প্রশাসকদের কাজ করতে নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।