মামলা দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে স্কুল ছাত্রছাত্রী, স্থানীয় জনগণ ও এলাকাবাসীর মানববন্ধন।

- Update Time : ০৭:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৩০ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর গ্রামে চলাচলের একমাত্র রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে এলাকাবাসী ও চাইল্ড কেয়ার একাডেমির শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পেছনে মামলা দিয়ে প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে চাইল্ড কেয়ার একাডেমির সামনে কয়েকশত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দা মানববন্ধনে অংশ নেন। তারা এককণ্ঠে দাবি জানান যে, রাস্তাটি সর্বদা খোলা রাখা হোক এবং কোনো ব্যক্তি বা মহল যেন যেকোনো প্রকার বাধা সৃষ্টি করতে না পারে।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, প্রায় শত বছর ধরে এবং স্বাধীনতার আগের সময় থেকেই ব্যবহৃত এই রাস্তাটি ভিটিদাউদপুরের ৩০-৪০টি পরিবারের দুই শতাধিক মানুষ এবং চাইল্ড কেয়ার একাডেমির তিন শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, জনসাধারণ, এলাকাবাসীর একমাত্র যাতায়াতের পথ। পাশাপাশি, গ্রামের সরকারি রেকর্ডভুক্ত একমাত্র কবরস্থান ও বিলে যাওয়ার জন্যও এই রাস্তাটিই একমাত্র উপায়। বক্তারা বলেন, রাস্তাটি বন্ধ হলে পুরো গ্রামের কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, একটি প্রভাবশালী মহল পরিকল্পিতভাবে রাস্তার উপর দখল বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা শুধু রাস্তার সংস্কার বাধাগ্রস্ত করছে না, বরং স্থানীয়দের নামে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে দায়ের করা মামলা থাকা সত্ত্বেও বিজয়নগর থানা ও এসিল্যান্ড অফিসের প্রতিবেদন এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের রায় স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, এ রাস্তায় কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে তা অপসারণ করতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “একমাত্র চলাচলের রাস্তা বন্ধ হলে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারবে না, গ্রামের মানুষ চিকিৎসা বা দৈনন্দিন কাজে বের হতে পারবে না, এমনকি মৃতদেহ কবরস্থানে নেওয়াও কঠিন হয়ে যাবে। তাই আমরা চাই, এই রাস্তাটি সর্বদা খোলা রাখার দায়িত্ব প্রশাসন ও সরকারের।“
স্থানীয় বাসিন্দারা এবং শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। তাদের মতে, রাস্তাটির নিরাপত্তা ও চলাচল নিশ্চিত করা শুধুমাত্র গ্রামীণ জীবনের চাহিদা নয়; এটি প্রজন্মের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য রক্ষার একটি মৌলিক অধিকার।
নাগরিক সমাজ, স্থানীয় ও জাতীয় সাংবাদিক সংগঠন গুলোও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা প্রশাসনের প্রতি দাবী জানিয়েছেন, যেন রাস্তাটি কোনো প্রকার বাধা ছাড়াই ব্যবহার উপযোগী রাখা হয় এবং হুমকির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হয়।এই মানববন্ধনকারীরা আরো জানান প্রকৃতপক্ষে এই রাস্তার মালিক আমরা ইচ্ছা করিলে বাধা দিতে পারতাম কারণ আমাদের প্রায় কয়েকটি দলিলে এ রাস্তাটি উল্লেখ রয়েছে। পূর্বেও এই রাস্তাটি স্থানীয় প্রতিনিধি তথা মেম্বার ও চেয়ারম্যানের দ্বারা বহুবার সংস্কার হয়েছে।