Dhaka ১১:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার বাধ্যবাধকতা থাকছে না, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) হারিয়ে গেলে নতুন কার্ড পাইতে।

সময়ের জবাব ডেক্স রিপোর্ট:
  • Update Time : ১২:৫০:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৫ Time View

বাংলাদেশের জন্য বড় সুখবর,

থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার বাধ্যবাধকতা থাকছে না, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) হারিয়ে গেলে নতুন কার্ড পাইতে।

 

এছাড়া নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে জন প্রতিনিধির সই নেওয়ার বিষয়টি তুলে দেওয়ার পক্ষে কাজ করছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা।

 

বর্ণিত সূত্র  জানা যায়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে বের হয়ে এসে ইসি সচিব সম্প্রতি এক বিশেষ সমন্বয় সভা ডাকিলে কর্মকর্তারা এমন সুপারিশ করেন। এতে এনআইডি সেবাকে সহজ করার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।

 

 

কার্যবিবরণীতেও ইসি সচিব শফিউল আজিমের বুধবার স্বাক্ষরিত ওই  বিষয়টি ওঠে এসেছে। সভায় আলোচনায় অংশ নিয়ে কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির আবেদনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা এ জাতীয় জন প্রতিনিধির সই নিতে সেবাগ্রহীতাকে বিড়ম্বনা বা হয়রানির মুখে পড়তে হয়। এতে আরো বলা হয়, জনপ্রতিনিধির স্বাক্ষরিত সনদ থাকলে এর প্রয়োজন হয় না। এছাড়া অনেক সময় সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে বাড়ি ভাড়ার চুক্তির কাগজপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র চাওয়া হয়, যা সেবাগ্রহীতার পক্ষে সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে সেবাগ্রহীতাকে বিভিন্ন কম্পিউটার দোকানে দালালের হয়রানির মধ্যে পড়তে হয় এবং এক্ষেত্রে বিকাশ অ্যাপের মতো নিজের ছবি ভেরিফিকেশন করে সহজ অ্যাপ তৈরি করে অনলাইন সেবাকে সহজীকরণ করা যেতে পারে।

 

 

একটি জিডি করতে সেবাগ্রহীতাদের অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। অন্যদিকে হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র পুনঃমুদ্রণের ক্ষেত্রে সেবাগ্রহীতার জিডি কপি দেওয়ার বর্তমান নির্দেশনা তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।কর্মকর্তারা আরও জানান, নির্বাচন কমিশন ও জাতীয় পরিচয়পত্র সেবাসহ যেসব কার্যক্রম করে থাকে এ বিষয়ে যথাযথ প্রচার হয় না বলে সেবাগ্রহীতারা সঠিক তথ্য পান না, এর কারণে তাদের দালালদের শরণাপন্ন হতে হয়। সেবা সহজীকরণ করে এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করা যেতে পারে। আলোচনায় আরো জানান বর্তমান পরিস্থিতিতে দালালের শরণাপন্ন না হয়ে কোন কাজ করা যাচ্ছে না।

জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিক ডাটা এন্ট্রির জন্য ডাটা এন্ট্রির অপারেটরের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। এ অবস্থায় কোনো অপারেটর অনুপস্থিত থাকলে অফিস প্রধান হয়েও তিনি কোনোভাবেই সেবাগ্রহীতাকে সেবা দিতে পারেন না। এমতাবস্থায়, উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসারের নামে একটি বিকল্প ডাটা এন্ট্রি অ্যাকাউন্ট সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। অনলাইনের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা প্রাপ্তির আবেদন ফরম এমনভাবে তৈরি করা উচিত যাতে আবেদন ফরম এন্ট্রির সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এটি ক্যাটাগরিভুক্ত হয়ে যায়। এসব আলোচনার পর এনআইডি সেবাকে সহজ করার লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন ইসি সচিব।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার বাধ্যবাধকতা থাকছে না, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) হারিয়ে গেলে নতুন কার্ড পাইতে।

Update Time : ১২:৫০:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের জন্য বড় সুখবর,

থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার বাধ্যবাধকতা থাকছে না, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) হারিয়ে গেলে নতুন কার্ড পাইতে।

 

এছাড়া নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে জন প্রতিনিধির সই নেওয়ার বিষয়টি তুলে দেওয়ার পক্ষে কাজ করছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা।

 

বর্ণিত সূত্র  জানা যায়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে বের হয়ে এসে ইসি সচিব সম্প্রতি এক বিশেষ সমন্বয় সভা ডাকিলে কর্মকর্তারা এমন সুপারিশ করেন। এতে এনআইডি সেবাকে সহজ করার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।

 

 

কার্যবিবরণীতেও ইসি সচিব শফিউল আজিমের বুধবার স্বাক্ষরিত ওই  বিষয়টি ওঠে এসেছে। সভায় আলোচনায় অংশ নিয়ে কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির আবেদনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা এ জাতীয় জন প্রতিনিধির সই নিতে সেবাগ্রহীতাকে বিড়ম্বনা বা হয়রানির মুখে পড়তে হয়। এতে আরো বলা হয়, জনপ্রতিনিধির স্বাক্ষরিত সনদ থাকলে এর প্রয়োজন হয় না। এছাড়া অনেক সময় সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে বাড়ি ভাড়ার চুক্তির কাগজপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র চাওয়া হয়, যা সেবাগ্রহীতার পক্ষে সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে সেবাগ্রহীতাকে বিভিন্ন কম্পিউটার দোকানে দালালের হয়রানির মধ্যে পড়তে হয় এবং এক্ষেত্রে বিকাশ অ্যাপের মতো নিজের ছবি ভেরিফিকেশন করে সহজ অ্যাপ তৈরি করে অনলাইন সেবাকে সহজীকরণ করা যেতে পারে।

 

 

একটি জিডি করতে সেবাগ্রহীতাদের অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। অন্যদিকে হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র পুনঃমুদ্রণের ক্ষেত্রে সেবাগ্রহীতার জিডি কপি দেওয়ার বর্তমান নির্দেশনা তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।কর্মকর্তারা আরও জানান, নির্বাচন কমিশন ও জাতীয় পরিচয়পত্র সেবাসহ যেসব কার্যক্রম করে থাকে এ বিষয়ে যথাযথ প্রচার হয় না বলে সেবাগ্রহীতারা সঠিক তথ্য পান না, এর কারণে তাদের দালালদের শরণাপন্ন হতে হয়। সেবা সহজীকরণ করে এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করা যেতে পারে। আলোচনায় আরো জানান বর্তমান পরিস্থিতিতে দালালের শরণাপন্ন না হয়ে কোন কাজ করা যাচ্ছে না।

জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিক ডাটা এন্ট্রির জন্য ডাটা এন্ট্রির অপারেটরের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। এ অবস্থায় কোনো অপারেটর অনুপস্থিত থাকলে অফিস প্রধান হয়েও তিনি কোনোভাবেই সেবাগ্রহীতাকে সেবা দিতে পারেন না। এমতাবস্থায়, উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসারের নামে একটি বিকল্প ডাটা এন্ট্রি অ্যাকাউন্ট সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। অনলাইনের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা প্রাপ্তির আবেদন ফরম এমনভাবে তৈরি করা উচিত যাতে আবেদন ফরম এন্ট্রির সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এটি ক্যাটাগরিভুক্ত হয়ে যায়। এসব আলোচনার পর এনআইডি সেবাকে সহজ করার লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন ইসি সচিব।